স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ভোটার হালনাগাদ অপারেটরের বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই অশ্লীল আচরণের পক্ষে সম্পূর্ণ সাপোর্ট দিচ্ছেন টীম লিডার শেখ রুহেল, তার বক্তব্যে এমনটাই উঠে এসেছে। সারা দেশের ন্যায় চুনারুঘাট উপজেলা অডিটোরিয়ামে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম করা হয়। সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- পুরুষের বুথে ভোটাররা নিজ দায়িত্বে ফিঙ্গার দিচ্ছেন। মহিলা বুথগুলোর মধ্যে একটি বুথের অপারেটর লিটন মিয়া মেয়েদের হাত বিভিন্নভাবে স্পর্শ করে ফিঙ্গার নিচ্ছেন। মেয়েদের হাত টেনে নিয়ে অপারেটর লিটন তার দু’হাত দিয়ে ফিঙ্গার নেয়ার মেশিনে চাপ দেন।
বিষয়টি অশ্লীলতার পর্যায়ে গেলে নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, এভাবে কোনো মেয়ের হাতে ধরা ঠিক না। বিষয়টি আমি দেখতেছি। তবে ভোটার হালনাগাদে অস্থায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত টীম লিডার শেখ রুহেল ওই প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, মেয়েদের হাত ধরলে আপনার সমস্যা কী? হাত ধরা ছাড়া ভোট তুলা যায় না, মহিলাদের চামড়া অন্য রকম। আমরা এভাবেই কাজ করবো। নয়তো আমরা কাজ করা ছেড়ে দেই, আপনি করেন।
টীম লিডার রুহেলের এমন আপত্তিকর কথাবার্তায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, মেয়েরা মায়ের জাতি। তাদের সাথে এমন আচরণ করা ও সমর্থন করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। হাত ধরে ভোট তুলতে চাইলে অবশ্যই গ্লাপ্স পরিধান করা উচিৎ ছিল।
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম জানান, সকল মেয়েদের হাত ধরা ঠিক না। তবে যাদের আঙ্গুলের ছাপ পেতে সমস্যা হয়, তাদের সাহায্য করা যেতে পারে। কতিপয় মহিলা ভোটার জানান, আমরা নিরুপায়। হাত ধরায় তাদের বাধা দিলে তারা যদি ভোট না তুলে দেয়, তাহলে আইডিকার্ড হবে কিভাবে? অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমরা চুপ থেকেছি।
এক মহিলা ভোটারের অভিভাবক বলেন, আমার ভাবীকে নিয়ে আসছি ভোট তুলতে। অপারেটর হাত টেনে নিয়ে ফিঙ্গার নিয়েছেন। বিষয়টি আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। বিভিন্ন কারণে আমি প্রতিবাদ করতে পারিনি।